ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

৫২ ভেজাল পণ্য ১০ দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের নির্দেশ হাইকোর্টের

নিউজ ডেস্ক ::

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২টি মানহীন ও ভেজাল পণ্য ১০ দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করে সেগুলো ধ্বংস করে ফেলার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ রবিবার ৫২টি মানহীন ও ভেজাল পণ্য নিয়ে শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

কনসাস কনজুমার সোসাইটির পক্ষে ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান জনস্বার্থে রিট আবেদনটি দায়ের করেন।

আদালত বলেছেন, এগুলো ধ্বংস করে ফেলতে হবে যেন তৃতীয় কারও হাতে না যায়।

এর আগে এসব মানহীন পণ্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দুই কর্মকর্তা হাইকোর্টে আসেন। দুই কর্মকর্তা হলেন- বিএসটিআইয়ের পরিচালক প্রকৌশলী এস এম ইসহাক আলী ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিচালক ড. সহদেব চন্দ্র সাহা। গত ৯ মে ৫২টি ভেজাল পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার ও জব্দ চেয়ে রিটের শুনানিতে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) এর পরীক্ষায় প্রমাণিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২টি ভেজাল ও নিম্নমাণের পণ্য জব্দ এবং এসব পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার ও উৎপাদন বন্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বিএসটিআই ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য অধিদফতরের দুই কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। বিএসটিআইয়ের পক্ষে ব্যারিস্টার সরকার এম আর হাসান আর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম।
ভেজাল ও নিম্নমানের ওই ৫২টি খাদ্যপণ্যের তালিকা-
১. গ্রীণ ব্লিচিং এর সরিষার তেল,
২. শমনমের সরিষার তেল,
৩. বাংলাদেশ এডিবল ওয়েলের সরিষার তেল,
৪. কাশেম ফুডের চিপস,
৫. সিটি ওয়েলের তীর সরিষার তেল,
৬. আরা ফুডের ড্রিংকিং ওয়াটার,
৭. আল সাফির ড্রিংকিং ওয়াটার,
৮. মিজান ড্রিংকিং ওয়াটার,
৯. মর্ণ ডিউয়ের ড্রিংকিং ওয়াটার,
১০. ডানকান ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার,
১১. আরার ডিউ ড্রিংকিং ওয়াটার,
১২. দিঘী ড্রিংকিং ওয়াটার,
১৩. প্রাণের লাচ্ছা সেমাই,
১৪. ডুডলি নুডলস,
১৫. শান্ত ফুডের সফট ড্রিংক পাউডার,
১৬. জাহাঙ্গীর ফুড সফট ড্রিংক পাউডার,
১৭. ড্যানিশের হলুদের গুড়া,
১৮. প্রাণের হলুদ গুড়া,
১৯. ফ্রেশের হলুদ গুড়া,
২০. এসিআইর ধনিয়ার গুড়া,
২১. প্রাণের কারি পাউডার,
২২. ড্যানিশের কারী পাউডার,
২৩. বনলতার ঘি,
২৪. পিওর হাটহাজারী মরিচ গুড়া,
২৫. মিস্টিমেলা লাচ্ছা সেমাই,
২৬. মধুবনের লাচ্ছা সেমাই,
২৭. মিঠাইর লাচ্ছা সেমাই,
২৮. ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই,
২৯. এসিআইর আয়োডিন যুক্ত লবন,
৩০. মোল্লা সল্টের আয়োডিন যুক্ত লবন,
৩১. কিং’য়ের ময়দা,
৩২. রুপসার দই,
৩৩. মক্কার চানাচুর,
৩৪. মেহেদীর বিস্কুট,
৩৫. বাঘাবাড়ীর স্পেশাল ঘি,
৩৬. নিশিতা ফুডস এর সুজি,
৩৭. মধুবনের লাচ্ছা সেমাই,
৩৮. মঞ্জিলের হলুদ গুড়া,
৩৯. মধুমতির আয়োডিন যুক্ত লবন,
৪০. সান ফুডের হলুদ গুড়া,
৪১. গ্রীন লেনের মধু,
৪২. কিরনের লাচ্ছা সেমাই,
৪৩. ডলফিনের মরিচের গুড়া,
৪৪. ডলফিনের হলুদের গুড়া,
৪৫. সূর্যের মরিচের গুড়া,
৪৬. জেদ্দার লাচ্ছা সেমাই,
৪৭. অমৃতের লাচ্ছা সেমাই,
৪৮. দাদা সুপারের আয়োডিনযুক্ত লবণ,
৪৯. মদীনার আয়োডিনযু্ক্ত লবন,
৫০. স্টারশীপ আয়োডিনযুক্ত লবণ
৫১. তাজ আয়োডিনযুক্ত লবণ,
৫২. নূর স্পেশাল আয়োডিনযুক্ত লবন।

পাঠকের মতামত: